ইংলিশ চ্যানেলে রুশ যুদ্ধজাহাজ, সতর্ক যুক্তরাজ্য
সিরিয়াগামী রুশ যুদ্ধজাহাজের বহর বর্তমানে ইংলিশ চ্যানেল পার হচ্ছে। আর এই বহরকে নজরদারিতে রেখেছে যুক্তরাজ্যের দুটি জাহাজ। আজ শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির জলসীমার কাছে থাকার সময় প্রতি মুহূর্তে বহরটির অবস্থান নজরদারিতে রাখা হবে।
জাহাজগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই ভেতরেই রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেছেন, ‘ব্রিটেনকে নিরাপদ রাখার অবিচল প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ওই বহরকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।’
যুক্তরাজ্যের রণতরী এইচএমএস রিচমন্ডের প্রহরায় এইচএমএস ডানকান গত মঙ্গলবার পোর্টসমাউথ থেকে রুশ রণতরীর বহরটিকে অনুসরণ করা শুরু করে। রুশ যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ অ্যাডমিরাল কুজনেতসভসহ বহরের অন্য জাহাজগুলো পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দিকে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অ্যাডমিরাল কুজনেতসভ রুশ নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমানবাহী একমাত্র জাহাজ। এটি ৫০ টিরও বেশি বিমান বহন করতে সক্ষম।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রাশিয়া কেন এত বড় আকারে রণতরী পাঠাচ্ছে এবং কেনই বা তারা সেখানে যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ পাঠাচ্ছে—সে ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার ট্যাবলয়েড কমসমলস্কায়া প্রাভদা-একটি প্রতিবেদন করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘এটি সিরিয়ার উপকূলে বর্তমানে অবস্থানরত নৌবাহিনীর উপস্থিতি আরও জোরদার করবে এবং বহরে থাকা অস্ত্রশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় ব্যবহার করা হবে।’
জাহাজগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই ভেতরেই রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেছেন, ‘ব্রিটেনকে নিরাপদ রাখার অবিচল প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ওই বহরকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।’
যুক্তরাজ্যের রণতরী এইচএমএস রিচমন্ডের প্রহরায় এইচএমএস ডানকান গত মঙ্গলবার পোর্টসমাউথ থেকে রুশ রণতরীর বহরটিকে অনুসরণ করা শুরু করে। রুশ যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ অ্যাডমিরাল কুজনেতসভসহ বহরের অন্য জাহাজগুলো পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দিকে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অ্যাডমিরাল কুজনেতসভ রুশ নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমানবাহী একমাত্র জাহাজ। এটি ৫০ টিরও বেশি বিমান বহন করতে সক্ষম।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রাশিয়া কেন এত বড় আকারে রণতরী পাঠাচ্ছে এবং কেনই বা তারা সেখানে যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ পাঠাচ্ছে—সে ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার ট্যাবলয়েড কমসমলস্কায়া প্রাভদা-একটি প্রতিবেদন করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘এটি সিরিয়ার উপকূলে বর্তমানে অবস্থানরত নৌবাহিনীর উপস্থিতি আরও জোরদার করবে এবং বহরে থাকা অস্ত্রশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় ব্যবহার করা হবে।’
তবে রণতরীর ওই বহর পাঠানোর উদ্দেশ্য কেবল সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক শক্তি বাড়ানো নয়। একমাত্র উদ্দেশ্য যদি সেটাই হতো তবে লাতাকিয়ার কাছে সিরিয়ায় তাদের বিমান ঘাঁটিতে আরও যুদ্ধবিমান পাঠানো মস্কোর জন্য সহজতর হতো। উত্তর সাগর ও ইংলিশ চ্যানেলের ভেতর দিয়ে বড় আকারে রণতরীর বহর পাঠিয়ে রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বকে পরিষ্কারভাবে এই বার্তায় দিতে চায় ‘তোমরা যা খুশি করতে পারো।’ মূলত বৈশ্বিক ভূমিকায় রাশিয়া তার অবস্থানকে তুলে ধরতে চায়। পাশাপাশি তারা পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে সমীহ অর্জন করতে চায়।
সিরিয়ায় রাশিয়ার ১০টি রণতরী রয়েছে। রাশিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের ওপর হামলায় ওই রণতরীগুলো থেকেই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা পূর্ব আলেপ্পোতে লড়াইয়ের ‘মানবিক বিরতি’ শুরু হয়েছে। আর এর মধ্যেই রাশিয়া ওই নৌবহর পাঠাচ্ছে। ওই সাময়িক যুদ্ধবিরতি বেসামরিক লোক ও যোদ্ধাদের বেরোনোর সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ। গত মঙ্গলবার থেকে রাশিয়া ও সিরিয়া সেখানে বিমান হামলা স্থগিত রেখেছে।
No comments:
Post a Comment