স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. হাসান (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার নাটোরের দায়রা জজ রেজাউল করিম এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে সব আসামির উপস্থিতিতে আদালত হাসানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় হাসানের বাবা আনোয়ার আকন্দ, মা হাছিনা বেগম, বোন আঞ্জুয়ারা বেগম ও দুলাভাই আবদুল হাকিমকে খালাস দেন আদালত।
নাটোরের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত হাসানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার রায় দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামি মো. হাসান একসময় ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তখন ওই কারখানার কর্মী গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার কাকডাংগা গ্রামের আসমা বেগমকে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর আসমাকে নিয়ে হাসান নাটোরে সিংড়া উপজেলার পাকুরিয়ায় গ্রামের বাড়িতে বাস করতেন। ২০১২ সালের ১৪ জুলাই ভোরে তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে জানান, তাঁর স্ত্রী বাড়ির পাশের বরইগাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তখন আসমার মা-বাবাসহ নিকট আত্মীয় বেঁচে না থাকায় ওই মৃত্যু নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পর হাসানের প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিন প্রামাণিক বাদী হয়ে নাটোরের আমলি আদালতে হাসানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিংড়া থানাকে নির্দেশ দেন। পুলিশ আসমার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করায় এবং হাসানকে গ্রেপ্তার করে। ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি হাসান বিচারিক হাকিম মিজানুর রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ওই বছরের ২৮ জুন পাঁচজনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে।
No comments:
Post a Comment