সেঞ্চুরি না হওয়ায় আক্ষেপ নেই তামিমের
চট্টগ্রাম টেস্টে ৮৬ আর ঢাকায় ৮৫—ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের হোম সিরিজে দুটি ইনিংসই তামিম ইকবালের কাছে ছিল আক্ষেপ জাগানিয়া। বিশেষ করে ঢাকা টেস্টে ৮৫ রানের ইনিংসটা। ইংলিশ বোলারদের ধুমধাম পিটিয়ে লাঞ্চের আগে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও পারেননি।
আজ অবশ্য আগ্রাসী তামিমকে দেখা যায়নি। উইকেটের চরিত্র বুঝেই ধীর-লয়ে এগিয়েছেন। ব্যাটিং ধরন যেমনই হোক ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ ইংলান্ডের বিপক্ষে তামিমের ব্যাট আজও উজ্জ্বল এক ইনিংসের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু ছয় বছর আগের ‘ভূত’টাই ফিরে এল। বাঁহাতি ওপেনার ফিরলেন ৭৯ রানে। ইংলিশদের বিপক্ষে আরও একটি সেঞ্চুরি হাতছাড়া তামিমের।
অবশ্য এ নিয়ে তাঁর কোনো আক্ষেপ নেই, ‘আমি আজ খুব কষ্ট করে রান করেছি। যদি ভুল শট খেলে আউট হতাম তাহলে কষ্ট লাগত। আমার কাছে মনে হয় যেভাবে খেলছিলাম সেখানে সব আমার নিয়ন্ত্রণেই ছিল। সেঞ্চুরিটা হয়নি এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না। সামনে চেষ্টা করব এমন পরিস্থিতি যত লম্বা ইনিংস খেলা যায়। পরের ইনিংসে ১-২-৩-৪ থেকে শুরু করতে হবে। তবে রানটা বড় হলে অবশ্যই খুশি হতাম। তবুও যা হয়েছে সন্তুষ্ট।’
এমনিতে চট্টগ্রামের উইকেট স্পিন-বান্ধব। মারাত্মক সব বাঁকে ইংলিশ স্পিনাররাও পরীক্ষা নিচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তামিম তাই বলছেন এই উইকেটে থিতু হওয়া কঠিন, ‘এখানে কেউ সেট ব্যাটসম্যান নয়। আপনি ৭০, ৮০ কিংবা ১০০ করেন, তাহলেও বলব এই উইকেটে কেউ সেট না। যদি মনে করেন সেট তাহলে সমস্যা তৈরি হবে। প্রতি ওভারেই এক-দুইটা বলে কিছু না কিছু হচ্ছে। খেলা মোটেও সহজ নয়। কঠিন উইকেট।’
অবশ্য নিজের ইনিংসে ‘সন্তুষ্ট’ হলেও রানটা তিন অঙ্ক ছুঁলে দিন শেষে বাংলাদেশ আরও ভালো অবস্থানে থাকত, সেটি মানছেন তামিম। তবে তিনি এখনো আশা হারাচ্ছেন না, ‘যদি আমি আরও রান করতাম তাহলে দলের জন্য ভালো হতো। এখনো আমি আশাবাদী। আমাদের সাকিব ও আরও দুজন ব্যাটসম্যান আছে। ওরা যদি জুটি বাঁধে আমাদের জন্য ভালো হবে।’
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা তাই বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে লিড নিতে হলে এই সেশনে ভালো করতেই হবে বাংলাদেশকে।
No comments:
Post a Comment