Friday, October 21, 2016

ড্রেনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ: রুমমেট এখনো পুলিশ হেফাজতে




রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রেন থেকে শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর রুমমেটকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপর তিনজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।


মোতালেব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মকিমপুরে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের পাশের ড্রেন থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই হলের ২৫৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
মোতালেব হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অশোক চৌহান আজ শুক্রবার বিকেলে জানান, গতকাল লাশ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোতালেবের রুমমেটসহ চারজনকে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর রুমমেটকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
মোতালেবের চাচা ও মামলার বাদী বশির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মোতালেব আরেকজনের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল খেটেছিল। যাদের জন্য এ কাজ করেছিল তারা মোতালেবকে হুমকি দিত। তবে হুমকিদাতাদের তিনি চেনেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘নিহতের চাচা এটা বলার আগে গতকাল সকালে আমরা তা শুনেছি। তদন্তের আগে হুট করে কিছু বলা যাবে না। এই বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। তথ্য-প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মোতালেবের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারও সঙ্গে মোতালেবের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। তবে বছরখানেক আগে একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন মোতালেব। কয়েক মাস জেলও খেটেছিলেন। ওই ঘটনা নিয়ে মোতালেব কিছুটা উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Pages

 

Sample text

Sample Text

 
Blogger Templates