Wednesday, November 16, 2016

লালা মাখিয়ে বল বিকৃত করেছেন ডু প্লেসি?


ফাফ ডু প্লেসির নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা লিখেছে অসাধারণ এক সাফল্যগাথা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতে গেছে প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই আনন্দক্ষণেই ডু প্লেসিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে।

হোবার্ট টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের ৫৪ তম ওভারের ঘটনা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ডু প্লেসি লালা মাখাচ্ছেন কোকাবুরা বলে। প্রোটিয়া অধিনায়কের মুখে তখন চুইংগাম। দুইবারের বেশি এমনটা করতে দেখা গেছে ডু প্লেসিকে। কাগিসো রাবাদার করা ওই ওভারে তিন বলের মধ্যে আউট হয়েছেন পিটার নেভিল ও জো মেনি।

যদিও আম্পায়াররা ডু প্লেসির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেনি। তবে পার্থে প্রথম টেস্টে ইচ্ছাকৃত বল বাউন্স করানোয় তাঁকে সতর্ক করা হয়। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রোটিয়া অধিনায়ক অবশ্য একে ‘তিলকে তাল করে দেখানো’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এমসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার বল ঘষতে পারেন। তবে তাতে কৃত্রিম বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।



এর আগে ২০১৩ সালে বল বিকৃত করার অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় ডু প্লেসিকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। সাবেক ইংলিশ ওপেনার মার্কাস ট্রেসকোথিক ২০০৯ সালে স্বীকার করেছিলেন, ২০০৫ অ্যাশেজে চুইংগাম চিবিয়ে লালা তৈরি করে বলে লাগিয়েছিলেন। এই লালা লাগিয়ে নাকি দীর্ঘ সময় বল চকচকে রাখা যায়। ট্রেসকোথিক তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, এই কৌশল কোকাবুরা বলে খুব একটা কাজে দেয় না যতটা কার্যকরী ইংল্যান্ডে ব্যবহৃত ডিউক বলে। তথ্যসূত্র: ক্রিকেটডটকম।

মিডিয়া বয়কট মেসিদের


বেশ কিছু দিন ধরেই আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম সমালোচনার তিরে বিঁধছিল মেসিদের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এমন সমালোচনা খুবই স্বাভাবিক। বিশেষ করে গত সপ্তাহে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর কোচ এদুয়ার্দো বাউজা ও ফুটবলারদের তুলাধোনা করে চলেছে গণমাধ্যম। মাঠের পারফরম্যান্সের সমালোচনা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু সমালোচনা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিজীবনকে লক্ষ্যবস্তু বানানোতেই চটেছেন মেসিরা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে গণমাধ্যম বয়কটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা দলের ২৫ জন খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এসে বয়কটের ঘোষণা দেন। এ সময় এক লিখিত বক্তৃতায় মেসি বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই বয়কট চলবে। এ সময় আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন না মেসিসহ আর্জেন্টিনা দলের ফুটবলাররা। 
বক্তৃতায় মেসি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত আমরা কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব না। আমাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আনা হয়, যেগুলো খুবই অসম্মানজনক। আমরা কখনোই এ ব্যাপারে কিছু বলি না। আমরা খুবই দুঃখিত, কিন্তু এ ছাড়া আমাদের কোনো উপায়ও ছিল না।’ 
দু-একটি গণমাধ্যমের জন্যই এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেসি, ‘আমরা জানি, সব গণমাধ্যমই এ ধরনের বাজে কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। তারা আমাদের সম্মান করে। তবে কোনো খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত জীবনকে লক্ষ্য বানানোটা খুবই অন্যায্য একটা ব্যাপার।’ 
সম্প্রতি একটি রেডিও স্টেশনে এজেকুয়েল লাভেজ্জিকে নিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়। যাতে অভিযোগ করা হয়, লাভেজ্জি অনুশীলনের পর মারিজুয়ানা নিয়ে থাকেন। লাভেজ্জির এই সংবাদটিই আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বয়কটের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের। 
আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কেউ কথা না বললেও কোচ বাউজা ঠিকই মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের। কলম্বিয়ার বিপক্ষে তিন গোলের জয়ে তিনি প্রকাশ করেছেন নিজের সন্তুষ্টি, ‘আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, আমি আজ খুবই খুশি ওদের পারফরম্যান্সে। এক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যমে আমাদের যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে, তাতে করে কলম্বিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না আমাদের জন্য।’ সূত্র: রয়টার্স।

‘মেসি’র খোঁজে উত্তর কোরিয়া



সারা দুনিয়ার চোখে ‘রহস্যময়’ এক দেশ উত্তর কোরিয়া। পৃথিবী থেকে নিজেদের আড়ালে রাখাই যে দেশের নীতি, সে দেশ কিন্তু বাইরের পৃথিবীর দিকে চোখ রেখেই নিজেদের ফুটবল-ভবিষ্যৎ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এক ফুটবল একাডেমি দিয়েই উত্তর কোরিয়া স্বপ্ন দেখছে লিওনেল মেসির চেয়েও ভালো, প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরির, এমনকি একদিন ফুটবলে বিশ্ব শাসনেরও!

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান ১২৬। দুবার বিশ্বকাপ খেললেও এশীয় ফুটবলে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপানের চেয়েও পিছিয়ে তারা। কিন্তু তা হলে কী হবে, স্বপ্নটা যে তাদের আকাশছোঁয়া! ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ রি ইউ ইল তো বলছেনও, ‘আমরা আমাদের ছাত্রদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যেন ওরা মহা প্রতিভাবান হয়ে উঠতে পারে। এমনকি স্কিলের দিক দিয়ে লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড়কেও ছাপিয়ে যেতে পারে।’

এটা অবশ্য দূর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। এখনকার লক্ষ্যটাও জানিয়েছেন ইউ ইল, ‘এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য এশিয়ায় আধিপত্য করা। অদূর ভবিষ্যতে আশা করি আমরা বিশ্ব ফুটবলেও আধিপত্য করতে পারব।’

কিন্তু প্রশিক্ষণ দিয়ে কি ‘মেসির চেয়ে ভালো’ ফুটবলার বানানো সম্ভব? তাদের প্রশিক্ষণটাই বা হচ্ছে কীভাবে? একাডেমিটিতে এই মুহূর্তে বিভিন্ন বয়সের ২০০ খেলোয়াড় আছে। এদের বয়স ৯ থেকে ১৫। খেলোয়াড়দের প্রায় ৪০ শতাংশই মেয়ে। সবাই পিয়ংইয়ংয়ের একাডেমিতে সকাল-বিকেল অনুশীলনে ব্যস্ত। কিছু প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সবার চেনা। আবার কিছু আছে চমকে দেওয়া। যেমন সংগীতের তালে তালে কোরিওগ্রাফ আর বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণ!

অবশ্য ‘মেসি’ বানানোর স্বপ্নের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে বাস্তবতাটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের নরওয়েজিয়ান কোচ ইর্য়ন অ্যান্ডারসন, ‘এই পদ্ধতিতে আসলে ওরা কোনো মেসি বানাতে পারবে না। তবে আমার মনে হয়, এশিয়ার মানের ভালো খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবে।’ কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন অ্যান্ডারসন, ‘এখানে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, কিন্তু তাদের সব সময় দেশের ভেতরেই থাকতে হবে। কেউই বাইরে (বিদেশের লিগে) যেতে পারবে না।’ ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে ইউরোপে খেলার বিকল্প দেখেন না অ্যান্ডারসন।

২০১০ বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে ১২ গোল খেয়ে বাড়ি ফেরা উত্তর কোরিয়া গতবার বাছাইপর্বই পেরোতে পারেনি। তাই নড়েচড়ে বসেছে দেশটি। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের গৌরব অন্তত ফিরিয়ে আনতে চায় উত্তর কোরিয়া। সেবার ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া দলটি ইউসেবিওর পর্তুগালের বিপক্ষে একপর্যায়ে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইউসেবিওর জাদুতে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় ৫-৩ গোলে। সেমিফাইনালে আর খেলা হয়নি।

অবশ্য উত্তর কোরিয়া দেশটির মতোই তাদের ফুটবলও ‘লোকচক্ষুর অন্তরালে’। দেশের ক্লাবগুলো এশিয়ান টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলে না। ১১ দলের ঘরোয়া লিগে কোনো ম্যাচে দুই-তিন শর বেশি দর্শক হয় না। অনেকটা সামরিক কায়দায় চলে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ। জাতীয় দলের কোচ অ্যান্ডারসনেরও যেটি পছন্দ নয়, ‘আমার দলের খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার খুব বেশি সুযোগ পায় না। শুধু অনুশীলন আর অনুশীলন...কিন্তু ম্যাচ খেলতে পারে না।’

এভাবে কি ‘মেসি’ তৈরি সম্ভব? দেখা যাক। সূত্র: এএফপি।

Monday, November 14, 2016

দ্বিজেনের চোখ গেলে আঁধার নামবে পরিবারেও


হাসপাতালের বিছানায় অনেকটা অসাড় হয়ে শুয়ে আছেন দ্বিজেন টুডু (৩৮)। বিছানার এক পাশে তাঁর বোন মার্থা টুডু। আহত দ্বিজেনের কথা বলার শক্তিও নেই। অস্ফুট স্বরে মাঝেমধ্যে শুধু বলছেন, ‘ব্যথা, ব্যথা’।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমি উদ্ধারের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দ্বিজেন। ওই সংঘর্ষের সময় ছোড়া ছররা গুলি তাঁর বাঁ চোখে ঢুকে গেছে। লেগেছে ডান চোখের পাশেও।

দ্বিজেন এখন আছেন রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন পিন্টু বলেন, ‘দ্বিজেনের ডান চোখের পাশে ছররা গুলি লেগেছে। তবে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁ চোখটি। এর ভেতরে গুলি ঢুকে গেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এটি যাতে নষ্ট না হয়ে যায়। তবে কোনো কিছুই এখন বলা যাচ্ছে না।’ একজন চিকিৎসকের মতে, দ্বিজেনের বাঁ চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ চোখে দৃষ্টিশক্তি হারানোর শঙ্কা বাদ দেওয়া যায় না।


তিন সন্তানের বাবা দ্বিজেন পেশায় দিনমজুর। স্ত্রী, তিন সন্তান আর বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে তাঁর পরিবার। দ্বিজেনের বড় ছেলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। মেজটি পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে। ছোট ছেলেটির বয়স আড়াই বছর। এত দিন কেবল পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার লড়াই করতে হয়েছে দ্বিজেনকে। আর এখন এর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে চোখ দুটি রক্ষা আর নিজের কর্মক্ষমতা ফেরানোর। হতদরিদ্র দ্বিজেন ভালো করেই জানে, চোখ না বাঁচলে তাঁর জীবনের যেমন কোনো নিশ্চয়তা নেই, তেমনি পুরো পরিবারকে পড়তে হবে চরম অনিশ্চয়তায়।
সাত সদস্যের পরিবারে দ্বিজেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সন্তানদের দেখভাল করার জন্য এক বোন ছাড়া পরিবারের কেউ সঙ্গে আসতে পারেনি। মার্থা জানান, এ যাবৎ​ চিকিৎসায় জমানো অর্থ প্রায় পুরোটাই শেষ হয়ে গেছে। হাসপাতালে কেউ কেউ এসে কিছু সহযোগিতা করেছেন। তা দিয়েই চলছে এখন।
এভাবে চিকিৎসা হয়তো চলবে, বন্দিদশাও কাটবে উত্তর জনপদের এই সাঁওতাল যুবকের। তবে চোখ হারানোর আশঙ্কায় থাকা এই সাঁওতাল পরিবারের আরেক আশঙ্কা সামনের দিনগুলো নিয়ে। দ্বিজেনের শরীরটি যদি তার কর্মক্ষমতা হারায়, তখন কী হবে? মার্থা বলছিলেন, ‘এক মুঠ চাল নিয়ে আসবে, পরিবারে এমন কেউ নেই তো। ভাইয়ের চোখ গেলে সবাই অন্ধকারে পড়ে যাবে।’ 
আহত ও দৃষ্টিশক্তি রক্ষার লড়াইয়ে থাকা এই সাঁওতাল যুবকটি কিন্তু বন্দী। দ্বিজেনের শয্যার উল্টো দিকের শয্যায় সাধারণ পোশাকে বসে আছেন পুলিশের তিন সদস্য। সবাই গাইবান্ধা জেলা পুলিশের সদস্য। দ্বিজেনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই সংঘর্ষের ঘটনার মামলায়। এরপর থেকে তিন পুলিশ দ্বিজেনের সঙ্গেই আছে।
দুটি চোখ শুধু নয়, দ্বিজেনের শরীরের নানা অংশে রয়েছে গুলি।
৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকার সাঁওতাল-অধ্যুষিত মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে ওই দিন একজন মারা যান। পরে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয় ধানখেত থেকে। সাঁওতালদের অভিযোগ, দুজন ওই হামলায় আহত হয়ে মারা গেছেন। এ সময় আহত হন পুলিশসহ ২০ জন। সংঘর্ষের সময় গুলি লাগে দ্বিজেনের শরীরে। তাঁর বোন মার্থা বলছিলেন, রক্তাক্ত দ্বিজেনকে তাঁরা কয়েকজন মিলে প্রথমে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, পরে পার্বতীপুর নেন। শেষে রাত ১০টার দিকে নেওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মার্থা বলেন, সেখানে পুলিশ চলে আসে। ভাইকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংঘর্ষের পর গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ এ ঘটনায় দুটি মামলা করে। গ্রেপ্তার করা হয় চার সাঁওতালকে। এই গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের একজন দ্বিজেন।

Wednesday, November 2, 2016

কাশ্মীরে শত শত স্কুল বন্ধের নির্দেশ


ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে শত শত স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে গোলাগুলিতে ১৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।


গতকালের ঘটনায় ভারত দাবি করেছে, ভোরে পাকিস্তানি সেনাদের গোলাগুলিতে চার নারী, দুই শিশুসহ আট বেসামরিক ভারতীয় নিহত হয়েছে। আর পাকিস্তান বলেছে, আগের দিন ভারতীয় সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছে ছয় পাকিস্তানি।
জম্মুর বেসামরিক প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা পাওয়ান কোতয়াল এএফপিকে বলেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সামবা, জম্মু ও কাথোয়া জেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০০টি স্কুল বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পোস্টারবয়-খ্যাত স্থানীয় হিজবুল মুজাহিদীন নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর গত জুলাই মাসের ৮ তারিখ থেকে কাশ্মীর উপত্যকা অশান্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় কারফিউ জারি করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় হাজারো মানুষ। এর মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উরির সেনাছাউনিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হন। এ হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। জবাবে ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জঙ্গি আস্তানায় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি করে ভারত। পাকিস্তান সরকারিভাবে এ অভিযোগও করেছিল যে কাশ্মীর থেকে চোখ ফেরানোর জন্যই ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি জানাচ্ছে। এরপর থেকে ওই সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে প্রায়ই গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।

রাহুল গান্ধী আটক



কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী ও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়াসহ তিনজনকে আটক করেছে দিল্লির পুলিশ। বিষপানে মারা যাওয়া এক সেনাসদস্যের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় দিল্লির পুলিশ। পরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়। হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
এক পদ এক পেনশন নীতির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির একটি পার্কের সামনে বিষপানে মারা যান সাবেক সেনাসদস্য রামকিষণ গ্রেড়াওয়াল। এরপরই হরিয়ানার এই সাবেক সেনাসদস্যকে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে রাখা হয়। আজ বুধবার বিকেলে সেখানে ওই সেনাসদস্যের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল গান্ধী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। প্রথমে তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরও তিনি হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাঁকে আটক করে। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হরিয়ানার এমএলএ কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যওয়ালাকে আটক করা হয়। 

Tuesday, November 1, 2016

বাংলাদেশে ‘লুক অ্যাট মি’ অ্যাপ উদ্বোধন করল স্যামসাং



অটিস্টিক শিশুদের জীবনমান উন্নত করতে ‘লুক অ্যাট মি’ অ্যাপ উদ্বোধন করেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ। অ্যাপটির ইংরেজি ভাষার আন্তর্জাতিক সংস্করণ গুগল প্লেস্টোর থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ অ্যাপের কারিকুলাম তৈরি করেছে স্যামসাং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ। অ্যাপটির বাংলা সংস্করণ ‘আমার দিকে তাকাও’ শিগগিরই গুগল প্লেস্টোরে পাওয়া যাবে।


স্যামসাংয়ের ভাষ্য, প্রযুক্তির সহায়তায় অটিস্টিক শিশুদের যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াবে এই অ্যাপ। অ্যাপটি শিশুদের সাহায্য করবে অন্যের সঙ্গে দৃষ্টি সংযোগ ও নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে। ‘লুক অ্যাট মি’ অ্যাপ কোরিয়া এবং কানাডায় সফলতা পাওয়ার পর বাংলাদেশ উন্মোচন করা হলো।
শিশুদের মাঝে ক্যামেরার প্রতি যে আগ্রহ দেখা যায় তা কাজে লাগিয়ে এই অ্যাপ শিশুদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। এটা ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুরা অন্য ব্যক্তির মনোভাব বুঝতে পারবে, বিভিন্ন চেহারা মনে রাখতে পারবে এবং বিভিন্ন মনোভাব ও ভঙ্গি অনুকরণ করে নিজেদের ছবি তুলতে পারবে। সাতটি আনন্দময় ও ইন্টারেকটিভ মিশন শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখবে, উপরন্তু পয়েন্ট সিস্টেম, বিভিন্ন পুরস্কার এবং অডিও/ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তাদের আগ্রহ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এই অ্যাপ-এর মিশনগুলোতে শিশুর পাশাপাশি মা-বাবা অথবা ট্রেইনারের অংশগ্রহণও থাকতে হবে।
স্যামসাং ও সূচনা ফাউন্ডেশন এক অনুষ্ঠানে এই অ্যাপ উদ্বোধন করেছে। সূচনা ফাউন্ডেশন মূলত নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার (এনডিডিএস) ও মানসিকভাবে অসুস্থ শিশু এবং ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে থাকে। অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সূচনা ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারস (এনএসিএএনডি)-এর চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আন সিয়ং-ডু, স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সেংওয়ান ইউন, স্যামসাং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়ানমো কুসহ স্যামসাং ও সূচনা ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি।

নতুন অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল!



নতুন একটি অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) উন্মুক্ত করতে পারে গুগল, যার নাম অ্যান্ড্রমিডা। অ্যান্ড্রয়েড ও ক্রোম ওএসের সমন্বয়ে ‘অ্যান্ড্রমিডা’ কোড নাম দিয়ে এই অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কাজ চলছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।


৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে নতুন এই ওএস ও দুটি নতুন মডেলের স্মার্টফোনের ঘোষণা দিতে পারে গুগল। নতুন স্মার্টফোন হবে পিক্সেল সিরিজের।
সম্প্রতি গুগলের অ্যান্ড্রয়েড, ক্রোম ওএস অ্যান্ড প্লে বিভাগের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোশি লকহেইমারের করা এক টুইট ঘিরে প্রযুক্তি বিশ্বে গুগলের নতুন ওএস নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর করা টুইটে লকহেইমার লিখেছেন, ‘আট বছর আগে আজকের দিনে অ্যান্ড্রয়েডের প্রথম সংস্করণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এখন থেকে আট বছর পরে আমরা যা নিয়ে কথা বলব, তার একটা অনুভূতি টের পাচ্ছি।’
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ ধারণা করছে, লকহেইমারের টুইট দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চলা অ্যান্ড্রয়েড ও ক্রোম ওএসের সমন্বয়ের ইঙ্গিত। গুগলে ইতিমধ্যে এই প্রকল্পটি ‘অ্যান্ড্রমিডা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। 
গুগল ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে নাইন টু ফাইভ গুগল নামের এক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নেক্সাস ৯ ট্যাবলেটে অ্যান্ড্রমিডা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে গুগল।
অ্যান্ড্রমিডা অপারেটিং সিস্টেমটি স্মার্টফোনের পাশাপাশি ল্যাপটপ ও কনভার্টিবল বা অন্যান্য ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে। আগামী বছর নাগাদ অ্যান্ড্রমিডা উন্মুক্ত করতে পারে গুগল।

রাস্তায়ও চলবে আকাশেও উড়বে!



উড়ুক্কু গাড়ি শিগগিরই হয়তো রাস্তায় চলা শুরু করবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোনটি আগে আসবে, উড়ুক্কু গাড়ি, নাকি স্বয়ংক্রিয় বা স্বচালিত গাড়ি? বেশ কিছুদিন ধরেই এই দুই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন গবেষকেরা। কিন্তু এখনো রাস্তায় চলার মতো সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি এই দুই প্রযুক্তির গাড়ি। এই দুই গাড়ির প্রযুক্তিকে যদি এক করে ফেলা যায়? 
উড়ুক্কু গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেরাফুগিয়া সম্প্রতি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তি নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। প্রায় ১০ বছর ধরে উড়ুক্কু গাড়ি তৈরিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার স্বয়ংক্রিয় উড়ুক্কু গাড়ি তৈরিতে কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। 
ব্যবসা ও প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডারের তথ্য অনুযায়ী, টেরাফুগিয়ার তৈরি বর্তমান যানটির নাম হচ্ছে ট্রানজিশন। উড়ুক্কু এ যানটিতে বড় চাকা ও ভাঁজ করে রাখা যায়—এমন ডানা আছে। ছোট এয়ারফিল্ড ও বড় গ্যারেজ থাকলে এটি ব্যবহার করা যায়। সত্যিকারের কোনো বড় রাস্তায় এটি ব্যবহার করা যায় না। তাই টেরাফুগিয়া কর্তৃপক্ষ ভাবছে, উড়ুক্কু গাড়িটি যদি স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা যায়, তবে অনেক সুবিধা হয়। এতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি, এয়ারসট্রিপের ঘাটতি ও মাথা ঠান্ডা রাখার মতো সমস্যাগুলো দূর হবে। 
টেরাফুগিয়ার দাবি, ২০২৫ সাল নাগাদ তাঁদের এই যন্ত্রটি বাজারে আসতে পারে। তথ্যসূত্র: বিজিআর।

স্যামসাংয়ের ৬ গিগাবাইট র্যা মের স্মার্টফোন


অনেক দিন ধরেই মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য স্মার্টফোন বাজারে ছেড়ে এসেছে স্যামসাং। তবে মানুষের আয়ের যেমন উন্নয়ন হয়েছে, একই সঙ্গে নিজেদের স্মার্টফোন উন্নত করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। এবারই তারা প্রথমবারের মতো ৬ গিগাবাইট র্যামের ‘গ্যালাক্সি সি৯ প্রো’ স্মার্টফোন আনছে তারা। ১১ নভেম্বর থেকে চীনের বাজারে স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে।
ধাতব কাঠামোর এই ফোন দেখতে কিছুটা অপ্পোর আর৯ এবং আর৯ প্লাসের মতো। পেছনে অ্যানটেনার জন্য সরু তিন সারি দাগ আছে এতে। ৬ ইঞ্চির বড় পর্দা, সামনে ও পেছনে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, চার হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ৬৪ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ মেমোরি, সঙ্গে অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড যোগ করার সুযোগও থাকছে গ্যালাক্সি সি৯ প্রোতে। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে শুরুতে অ্যান্ড্রয়েড ৬.০.১ মার্শমেলো থাকলেও শিগগিরই অ্যান্ড্রয়েড ৭ ন্যুগাটে উন্নয়নের সুযোগ থাকবে বলে জানানো হয়।
স্মার্টফোনটির প্রাথমিক দাম ধরা হয়েছে ৪৭০ ডলার। তবে চীনের বাইরে অন্য কোথায় এটি ছাড়া হবে, আদৌ ছাড়া হবে কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি স্যামসাং।
সূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস

নকিয়ার নতুন ফোন বাজারে

নকিয়া ব্র্যান্ডের একটি নতুন ফিচার ফোন বাংলাদেশের বাজারে ছেড়েছে মাইক্রোসফট। নকিয়া ২১৬ মডেলের এ ফোনটির দাম ২ হাজার ৯৯০ টাকা।


ফোনটিতে আছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত দুটি ভিজিএ ক্যামেরা। এতে অপেরা মোবাইল স্টোর থেকে অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা আছে। ২ দশমিক ৪ ইঞ্চি মাপের কিউভিজিএ স্ক্রিনের ফোনটিতে মাইক্রোএসডি কার্ড সমর্থন করে। ডুয়াল সিমের ফোনটিতে আছে এফএম রেডিও, এমপিথ্রি এবং ভিডিও প্লেয়ার ও হেডসেটের জন্য ব্লুটুথ অডিও সমর্থন। ফোনটির পেছনের ক্যামেরার এলইডি ফ্ল্যাশ বিল্ট-ইন টর্চলাইটের চেয়েও দ্বিগুণ বেশি আলো সৃষ্টি করে। ফোনটি কালো, ধূসর ও নীল রঙে পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে মাইক্রোসফট তাদের ফিচার ফোন ব্যবসা এফআইএইচ মোবাইল লিমিটেডের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত নকিয়ার ফিচার ফোনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। বিজ্ঞপ্তি।

নতুন স্মার্টফোন


রাজধানীর একটি শপিং মলে গতকাল মঙ্গলবার সিম্ফনি পি৭ মডেলের স্মার্টফোন উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিম্ফনি মোবাইলের জ্যেষ্ঠ পরিচালক রেজোয়ানুল হক, বিপণন পরিচালক আশরাফুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক এম এ হানিফ, এডিসন ইলেকট্রনিকসের হেড অব মার্কেটিং কাজী জহির উদ্দীন এবং জ্যেষ্ঠ বিপণন ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্মার্টফোনটিতে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৫.৩ ইঞ্চি পর্দা, অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ মার্শমেলো, ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র‍্যাম, ২৬০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৬ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ মেমোরি আছে। স্মার্টফোনটির দাম ৮৯৯০ টাকা।




ফ্রি ওয়াইফাই সেবা চালু



নারায়ণগঞ্জ নগরীর উত্তর চাষাঢ়ায় বিনা মূল্যে ওয়াইফাই সেবা চালু ও এলইডি সড়কবাতি বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হাশেম। অন্যান্যের মধ্যে সেলিম ওসমানের সহধর্মিণী নাসরিন ওসমান, নারায়ণগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি খালেদ হায়দার খান, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পার্সোনাল কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ কী?


ওয়েবসাইট দেখা, ই-মেইল দেখা কিংবা গান শোনার জন্য আগে ভরসা ছিল পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি)। সেই কাজ এখন স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার কিংবা কণ্ঠ-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র দিয়েই সেরে ফেলা যায়। গ্রাহক-চাহিদার এই পরিবর্তনের ফলেই পিসির বাজারে ধস নেমেছে। এখন প্রশ্ন হলো, পার্সোনাল কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ কী? ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাবে?


মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের সাম্প্রতিক পিসির ঘোষণায় সেই উত্তর কিছুটা পাওয়া যায়। এদিকে এইচপি কিংবা লেনোভোর মতো প্রতিষ্ঠান সেই প্রশ্নের উত্তর একটু ভিন্নভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছে। নির্মাতারা তাদের কম্পিউটারগুলো অনেকটা ট্যাবলেটের মতো করে ফেলছে। একই সঙ্গে পিসি এবং ট্যাবলেটের কাজ করা এই যন্ত্রগুলোকে বলা হচ্ছে হাইব্রিড। হাইব্রিডের বিক্রি বাড়ছে। তবু পিসির বিক্রি রাতারাতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তা যথেষ্ট নয়।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) হিসাবে, ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে পিসি বিক্রি আরও ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। সেই প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির বিশ্লেষক লিন হুয়াং লিখেছেন, বাড়িতে ব্যবহারের জন্য পিসির বাজার ক্রমাগত কমছে। এ রকম প্রতিকূল পরিবেশেও পিসির ওপর আস্থা হারায়নি অ্যাপল এবং প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট।
পার্সোনাল কম্পিউটার নির্মাতারা বর্তমানে যে সমস্যার মুখে পড়ছে, তারই স্বীকৃতি অ্যাপলের ম্যাকবুক প্রো আর মাইক্রোসফটের সারফেস স্টুডিও। প্রতিদিনের কাজে ব্যবহারের জন্য নয়, বরং ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ দিন দিন পেশাদারদের কম্পিউটার হয়ে যাচ্ছে। পেশাদার ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দামও সেভাবেই নির্ধারণ করা হচ্ছে। ম্যাকবুক প্রো শুরু হয়েছে ১ হাজার ৭৯৯ ডলার থেকে আর সারফেস বুক কিনতে খরচ করতে হবে ৩ হাজার ডলার। নিত্যদিনের কাজ সারতে কে কিনবে এই মহামূল্য কম্পিউটার?
কম্পিউটার দুটির বিজ্ঞাপনেও কিন্তু সেই ছবি ও ভিডিও সম্পাদনা কিংবা শিল্পীদের কাজ দেখানো হয়েছে। এর বাইরে সব কাজের জন্য ট্যাবলেট কম্পিউটারই যথেষ্ট। ট্যাবলেট বানানো হচ্ছে সেভাবেই। সারফেস বুক কিংবা আইপ্যাডের কথা ভেবে দেখুন। অ্যাপল আর মাইক্রোসফট প্রযুক্তি জগতের দিকপাল। কম্পিউটারের প্রমিত মান ঠিক করতে তারাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

জয়পুরহাটে ধর্ষকের যাবজ্জীবন



গৃহকর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জয়পুরহাট নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর আবদুল মজিদ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া আসামির নাম রোস্তম আলী (৩৫)। তিনি আক্কেলপুর উপজেলার নারিকেলী গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের পর তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায়ে বাদীর গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুকে রোস্তম আলীর উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন আদালত। জেলা হাকিমকে ওই শিশুর ভরণপোষণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা বাবদ মাসিক অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করে বাদীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে এ অর্থ বাদীকে প্রদান করার উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আসামিকে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, আক্কেলপুর উপজেলার নারিকেলী গ্রামের রোস্তম আলী (৩৫) তাঁর গৃহকর্মীকে (২৯) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে গৃহকর্মী ও তাঁর পরিবার রোস্তমকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে রোস্তম আলী অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় গৃহকর্মী ২০০৫ সালের ১২ এপ্রিল জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

প্রেসিডেন্ট ছাড়াও আর যা যা পরিবর্তন হতে পারে



মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন নাকি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হবেন, তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে তো বটেই, বিশ্ব গণমাধ্যমেও ঘুরেফিরে চলছে একই আলোচনা। সবার নজর মূলত হিলারি ও ট্রাম্পের ওপর থাকায় নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আরও যেসব পরিবর্তন ঘটতে চলেছে, তা অনেকটা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৮ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের খালি পদেও নির্বাচন হবে। সিনেট নির্বাচনে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যালট পেপারে থাকবে।
চিকিৎসার জন্য গাঁজা সেবন আইনসিদ্ধ করা না-করার ব্যাপারে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট হবে ফ্লোরিডা, নর্থ ডাকোটা, আরকানসাস, নেভাডা, ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস, মেইন ও অ্যারিজোনায়। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঙ্গরাজ্যে বিনোদনের জন্য গাঁজা সেবন আইনসিদ্ধ।
অরেগন অঙ্গরাজ্যে গভর্নর পদে প্রার্থী হয়েছেন কেট ব্রাউন নামের এক উভলিঙ্গ নারী। তিনি নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো কোনো উভলিঙ্গ ব্যক্তিকে গভর্নরের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে।
বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে পশু শিকার, এমনকি মাছ ধরা নিয়েও ‘হ্যাঁ-না’ ভোট হবে। সেই সঙ্গে ম্যাসাচুসেটসের ব্যালটে থাকছে গরু ও মোরগ পালনের আইন নিয়ে ‘হ্যাঁ-না’ প্রশ্ন। এ রাজ্যে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে পশুপালনে অমানবিকতার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। গরু বা মোরগের খামারে প্রাণীদের আরামে শোয়া ও বসার মতো যথেষ্ট জায়গা দিয়ে লালন-পালন করতে হবে।
মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা নিয়ে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ‘হ্যাঁ-না’ জুড়ে দেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে। ক্যালিফোর্নিয়া ও নেব্রাস্কায় ‘হ্যাঁ’ জয়লাভ করলে এ দুই অঙ্গরাজ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রের ২১টি অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্যবিমা যুক্তরাষ্ট্রের জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রণীত স্বাস্থ্যবিমা নিয়ে বিতর্কের অবসান এখনো হয়নি। কলোরাডোয় ওবামা কেয়ারের চেয়ে গণমুখী স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে নির্বাচনের দিন ভোটাররা নিজেদের রায় জানাবেন। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর বাড়ানো হবে। এ প্রস্তাবে নাগরিকেরা রাজি থাকলে রাজ্য সরকার বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেবে।
এবারের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য ভর্তুকির ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে পারে। রিপাবলিকান দল হোয়াইট হাউস জয় করলে এবং প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে পরিবর্তন নিশ্চিত।
২০১৪ সালে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান পার্টি থেকে দুজন কৃষ্ণাঙ্গ নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। জনমত জরিপ অনুযায়ী উইল হার্ড ও মিয়া লাভ নামের প্রতিনিধি পরিষদের ওই দুই সদস্যেরই পুনর্নির্বাচন এবার কঠিন হয়ে উঠেছে। তাঁরা হেরে গেলে মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান দলে আর কোনো কৃষ্ণাঙ্গ থাকবেন না।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ব্যালটে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াকে অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রশ্নে ‘হ্যাঁ-না’ ভোট চাওয়া হয়েছে। ‘
কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মর্যাদা রক্ষা বা কষ্ট প্রশমনের জন্য মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির নিজের বা অনুমোদিত স্বজনের ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসক তাঁর জীবনাবসান ঘটাতে পারেন। কলোরাডোয় ভোটাররা এ-সংক্রান্ত আইনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেবেন।

Pages

 

Sample text

Sample Text

 
Blogger Templates