Social Icons

Featured Posts

Wednesday, November 16, 2016

লালা মাখিয়ে বল বিকৃত করেছেন ডু প্লেসি?


ফাফ ডু প্লেসির নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা লিখেছে অসাধারণ এক সাফল্যগাথা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতে গেছে প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই আনন্দক্ষণেই ডু প্লেসিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে।

হোবার্ট টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের ৫৪ তম ওভারের ঘটনা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ডু প্লেসি লালা মাখাচ্ছেন কোকাবুরা বলে। প্রোটিয়া অধিনায়কের মুখে তখন চুইংগাম। দুইবারের বেশি এমনটা করতে দেখা গেছে ডু প্লেসিকে। কাগিসো রাবাদার করা ওই ওভারে তিন বলের মধ্যে আউট হয়েছেন পিটার নেভিল ও জো মেনি।

যদিও আম্পায়াররা ডু প্লেসির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেনি। তবে পার্থে প্রথম টেস্টে ইচ্ছাকৃত বল বাউন্স করানোয় তাঁকে সতর্ক করা হয়। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রোটিয়া অধিনায়ক অবশ্য একে ‘তিলকে তাল করে দেখানো’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এমসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার বল ঘষতে পারেন। তবে তাতে কৃত্রিম বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।



এর আগে ২০১৩ সালে বল বিকৃত করার অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় ডু প্লেসিকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। সাবেক ইংলিশ ওপেনার মার্কাস ট্রেসকোথিক ২০০৯ সালে স্বীকার করেছিলেন, ২০০৫ অ্যাশেজে চুইংগাম চিবিয়ে লালা তৈরি করে বলে লাগিয়েছিলেন। এই লালা লাগিয়ে নাকি দীর্ঘ সময় বল চকচকে রাখা যায়। ট্রেসকোথিক তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, এই কৌশল কোকাবুরা বলে খুব একটা কাজে দেয় না যতটা কার্যকরী ইংল্যান্ডে ব্যবহৃত ডিউক বলে। তথ্যসূত্র: ক্রিকেটডটকম।

মিডিয়া বয়কট মেসিদের


বেশ কিছু দিন ধরেই আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম সমালোচনার তিরে বিঁধছিল মেসিদের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এমন সমালোচনা খুবই স্বাভাবিক। বিশেষ করে গত সপ্তাহে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর কোচ এদুয়ার্দো বাউজা ও ফুটবলারদের তুলাধোনা করে চলেছে গণমাধ্যম। মাঠের পারফরম্যান্সের সমালোচনা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু সমালোচনা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিজীবনকে লক্ষ্যবস্তু বানানোতেই চটেছেন মেসিরা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে গণমাধ্যম বয়কটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা দলের ২৫ জন খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এসে বয়কটের ঘোষণা দেন। এ সময় এক লিখিত বক্তৃতায় মেসি বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই বয়কট চলবে। এ সময় আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন না মেসিসহ আর্জেন্টিনা দলের ফুটবলাররা। 
বক্তৃতায় মেসি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত আমরা কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব না। আমাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আনা হয়, যেগুলো খুবই অসম্মানজনক। আমরা কখনোই এ ব্যাপারে কিছু বলি না। আমরা খুবই দুঃখিত, কিন্তু এ ছাড়া আমাদের কোনো উপায়ও ছিল না।’ 
দু-একটি গণমাধ্যমের জন্যই এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেসি, ‘আমরা জানি, সব গণমাধ্যমই এ ধরনের বাজে কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। তারা আমাদের সম্মান করে। তবে কোনো খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত জীবনকে লক্ষ্য বানানোটা খুবই অন্যায্য একটা ব্যাপার।’ 
সম্প্রতি একটি রেডিও স্টেশনে এজেকুয়েল লাভেজ্জিকে নিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়। যাতে অভিযোগ করা হয়, লাভেজ্জি অনুশীলনের পর মারিজুয়ানা নিয়ে থাকেন। লাভেজ্জির এই সংবাদটিই আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বয়কটের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের। 
আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কেউ কথা না বললেও কোচ বাউজা ঠিকই মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের। কলম্বিয়ার বিপক্ষে তিন গোলের জয়ে তিনি প্রকাশ করেছেন নিজের সন্তুষ্টি, ‘আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, আমি আজ খুবই খুশি ওদের পারফরম্যান্সে। এক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যমে আমাদের যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে, তাতে করে কলম্বিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না আমাদের জন্য।’ সূত্র: রয়টার্স।

‘মেসি’র খোঁজে উত্তর কোরিয়া



সারা দুনিয়ার চোখে ‘রহস্যময়’ এক দেশ উত্তর কোরিয়া। পৃথিবী থেকে নিজেদের আড়ালে রাখাই যে দেশের নীতি, সে দেশ কিন্তু বাইরের পৃথিবীর দিকে চোখ রেখেই নিজেদের ফুটবল-ভবিষ্যৎ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এক ফুটবল একাডেমি দিয়েই উত্তর কোরিয়া স্বপ্ন দেখছে লিওনেল মেসির চেয়েও ভালো, প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরির, এমনকি একদিন ফুটবলে বিশ্ব শাসনেরও!

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান ১২৬। দুবার বিশ্বকাপ খেললেও এশীয় ফুটবলে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপানের চেয়েও পিছিয়ে তারা। কিন্তু তা হলে কী হবে, স্বপ্নটা যে তাদের আকাশছোঁয়া! ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ রি ইউ ইল তো বলছেনও, ‘আমরা আমাদের ছাত্রদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যেন ওরা মহা প্রতিভাবান হয়ে উঠতে পারে। এমনকি স্কিলের দিক দিয়ে লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড়কেও ছাপিয়ে যেতে পারে।’

এটা অবশ্য দূর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। এখনকার লক্ষ্যটাও জানিয়েছেন ইউ ইল, ‘এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য এশিয়ায় আধিপত্য করা। অদূর ভবিষ্যতে আশা করি আমরা বিশ্ব ফুটবলেও আধিপত্য করতে পারব।’

কিন্তু প্রশিক্ষণ দিয়ে কি ‘মেসির চেয়ে ভালো’ ফুটবলার বানানো সম্ভব? তাদের প্রশিক্ষণটাই বা হচ্ছে কীভাবে? একাডেমিটিতে এই মুহূর্তে বিভিন্ন বয়সের ২০০ খেলোয়াড় আছে। এদের বয়স ৯ থেকে ১৫। খেলোয়াড়দের প্রায় ৪০ শতাংশই মেয়ে। সবাই পিয়ংইয়ংয়ের একাডেমিতে সকাল-বিকেল অনুশীলনে ব্যস্ত। কিছু প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সবার চেনা। আবার কিছু আছে চমকে দেওয়া। যেমন সংগীতের তালে তালে কোরিওগ্রাফ আর বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণ!

অবশ্য ‘মেসি’ বানানোর স্বপ্নের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে বাস্তবতাটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের নরওয়েজিয়ান কোচ ইর্য়ন অ্যান্ডারসন, ‘এই পদ্ধতিতে আসলে ওরা কোনো মেসি বানাতে পারবে না। তবে আমার মনে হয়, এশিয়ার মানের ভালো খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবে।’ কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন অ্যান্ডারসন, ‘এখানে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, কিন্তু তাদের সব সময় দেশের ভেতরেই থাকতে হবে। কেউই বাইরে (বিদেশের লিগে) যেতে পারবে না।’ ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে ইউরোপে খেলার বিকল্প দেখেন না অ্যান্ডারসন।

২০১০ বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে ১২ গোল খেয়ে বাড়ি ফেরা উত্তর কোরিয়া গতবার বাছাইপর্বই পেরোতে পারেনি। তাই নড়েচড়ে বসেছে দেশটি। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের গৌরব অন্তত ফিরিয়ে আনতে চায় উত্তর কোরিয়া। সেবার ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া দলটি ইউসেবিওর পর্তুগালের বিপক্ষে একপর্যায়ে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইউসেবিওর জাদুতে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় ৫-৩ গোলে। সেমিফাইনালে আর খেলা হয়নি।

অবশ্য উত্তর কোরিয়া দেশটির মতোই তাদের ফুটবলও ‘লোকচক্ষুর অন্তরালে’। দেশের ক্লাবগুলো এশিয়ান টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলে না। ১১ দলের ঘরোয়া লিগে কোনো ম্যাচে দুই-তিন শর বেশি দর্শক হয় না। অনেকটা সামরিক কায়দায় চলে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ। জাতীয় দলের কোচ অ্যান্ডারসনেরও যেটি পছন্দ নয়, ‘আমার দলের খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার খুব বেশি সুযোগ পায় না। শুধু অনুশীলন আর অনুশীলন...কিন্তু ম্যাচ খেলতে পারে না।’

এভাবে কি ‘মেসি’ তৈরি সম্ভব? দেখা যাক। সূত্র: এএফপি।

Monday, November 14, 2016

দ্বিজেনের চোখ গেলে আঁধার নামবে পরিবারেও


হাসপাতালের বিছানায় অনেকটা অসাড় হয়ে শুয়ে আছেন দ্বিজেন টুডু (৩৮)। বিছানার এক পাশে তাঁর বোন মার্থা টুডু। আহত দ্বিজেনের কথা বলার শক্তিও নেই। অস্ফুট স্বরে মাঝেমধ্যে শুধু বলছেন, ‘ব্যথা, ব্যথা’।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমি উদ্ধারের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দ্বিজেন। ওই সংঘর্ষের সময় ছোড়া ছররা গুলি তাঁর বাঁ চোখে ঢুকে গেছে। লেগেছে ডান চোখের পাশেও।

দ্বিজেন এখন আছেন রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন পিন্টু বলেন, ‘দ্বিজেনের ডান চোখের পাশে ছররা গুলি লেগেছে। তবে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁ চোখটি। এর ভেতরে গুলি ঢুকে গেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এটি যাতে নষ্ট না হয়ে যায়। তবে কোনো কিছুই এখন বলা যাচ্ছে না।’ একজন চিকিৎসকের মতে, দ্বিজেনের বাঁ চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ চোখে দৃষ্টিশক্তি হারানোর শঙ্কা বাদ দেওয়া যায় না।


তিন সন্তানের বাবা দ্বিজেন পেশায় দিনমজুর। স্ত্রী, তিন সন্তান আর বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে তাঁর পরিবার। দ্বিজেনের বড় ছেলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। মেজটি পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে। ছোট ছেলেটির বয়স আড়াই বছর। এত দিন কেবল পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার লড়াই করতে হয়েছে দ্বিজেনকে। আর এখন এর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে চোখ দুটি রক্ষা আর নিজের কর্মক্ষমতা ফেরানোর। হতদরিদ্র দ্বিজেন ভালো করেই জানে, চোখ না বাঁচলে তাঁর জীবনের যেমন কোনো নিশ্চয়তা নেই, তেমনি পুরো পরিবারকে পড়তে হবে চরম অনিশ্চয়তায়।
সাত সদস্যের পরিবারে দ্বিজেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সন্তানদের দেখভাল করার জন্য এক বোন ছাড়া পরিবারের কেউ সঙ্গে আসতে পারেনি। মার্থা জানান, এ যাবৎ​ চিকিৎসায় জমানো অর্থ প্রায় পুরোটাই শেষ হয়ে গেছে। হাসপাতালে কেউ কেউ এসে কিছু সহযোগিতা করেছেন। তা দিয়েই চলছে এখন।
এভাবে চিকিৎসা হয়তো চলবে, বন্দিদশাও কাটবে উত্তর জনপদের এই সাঁওতাল যুবকের। তবে চোখ হারানোর আশঙ্কায় থাকা এই সাঁওতাল পরিবারের আরেক আশঙ্কা সামনের দিনগুলো নিয়ে। দ্বিজেনের শরীরটি যদি তার কর্মক্ষমতা হারায়, তখন কী হবে? মার্থা বলছিলেন, ‘এক মুঠ চাল নিয়ে আসবে, পরিবারে এমন কেউ নেই তো। ভাইয়ের চোখ গেলে সবাই অন্ধকারে পড়ে যাবে।’ 
আহত ও দৃষ্টিশক্তি রক্ষার লড়াইয়ে থাকা এই সাঁওতাল যুবকটি কিন্তু বন্দী। দ্বিজেনের শয্যার উল্টো দিকের শয্যায় সাধারণ পোশাকে বসে আছেন পুলিশের তিন সদস্য। সবাই গাইবান্ধা জেলা পুলিশের সদস্য। দ্বিজেনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই সংঘর্ষের ঘটনার মামলায়। এরপর থেকে তিন পুলিশ দ্বিজেনের সঙ্গেই আছে।
দুটি চোখ শুধু নয়, দ্বিজেনের শরীরের নানা অংশে রয়েছে গুলি।
৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকার সাঁওতাল-অধ্যুষিত মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে ওই দিন একজন মারা যান। পরে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয় ধানখেত থেকে। সাঁওতালদের অভিযোগ, দুজন ওই হামলায় আহত হয়ে মারা গেছেন। এ সময় আহত হন পুলিশসহ ২০ জন। সংঘর্ষের সময় গুলি লাগে দ্বিজেনের শরীরে। তাঁর বোন মার্থা বলছিলেন, রক্তাক্ত দ্বিজেনকে তাঁরা কয়েকজন মিলে প্রথমে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, পরে পার্বতীপুর নেন। শেষে রাত ১০টার দিকে নেওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মার্থা বলেন, সেখানে পুলিশ চলে আসে। ভাইকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংঘর্ষের পর গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ এ ঘটনায় দুটি মামলা করে। গ্রেপ্তার করা হয় চার সাঁওতালকে। এই গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের একজন দ্বিজেন।

Wednesday, November 2, 2016

কাশ্মীরে শত শত স্কুল বন্ধের নির্দেশ


ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে শত শত স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে গোলাগুলিতে ১৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।


গতকালের ঘটনায় ভারত দাবি করেছে, ভোরে পাকিস্তানি সেনাদের গোলাগুলিতে চার নারী, দুই শিশুসহ আট বেসামরিক ভারতীয় নিহত হয়েছে। আর পাকিস্তান বলেছে, আগের দিন ভারতীয় সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছে ছয় পাকিস্তানি।
জম্মুর বেসামরিক প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা পাওয়ান কোতয়াল এএফপিকে বলেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সামবা, জম্মু ও কাথোয়া জেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০০টি স্কুল বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পোস্টারবয়-খ্যাত স্থানীয় হিজবুল মুজাহিদীন নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর গত জুলাই মাসের ৮ তারিখ থেকে কাশ্মীর উপত্যকা অশান্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় কারফিউ জারি করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় হাজারো মানুষ। এর মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উরির সেনাছাউনিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হন। এ হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। জবাবে ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জঙ্গি আস্তানায় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি করে ভারত। পাকিস্তান সরকারিভাবে এ অভিযোগও করেছিল যে কাশ্মীর থেকে চোখ ফেরানোর জন্যই ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি জানাচ্ছে। এরপর থেকে ওই সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে প্রায়ই গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।

রাহুল গান্ধী আটক



কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী ও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়াসহ তিনজনকে আটক করেছে দিল্লির পুলিশ। বিষপানে মারা যাওয়া এক সেনাসদস্যের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় দিল্লির পুলিশ। পরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়। হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
এক পদ এক পেনশন নীতির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির একটি পার্কের সামনে বিষপানে মারা যান সাবেক সেনাসদস্য রামকিষণ গ্রেড়াওয়াল। এরপরই হরিয়ানার এই সাবেক সেনাসদস্যকে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে রাখা হয়। আজ বুধবার বিকেলে সেখানে ওই সেনাসদস্যের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল গান্ধী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। প্রথমে তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরও তিনি হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাঁকে আটক করে। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হরিয়ানার এমএলএ কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যওয়ালাকে আটক করা হয়। 

Pages

 

Sample text

Sample Text

 
Blogger Templates