Friday, October 21, 2016

রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের হুমকি ইইউর

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থকেরা নির্মমতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে তাদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে, এমন চিন্তাভাবনা করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। সম্মেলনের একটি খসড়া বিবৃতিতে এ হুমকির কথা রয়েছে। মূলত রাশিয়াকে উদ্দেশ করেই এই বার্তা দিয়েছে ইইউ।


বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউর ওই সম্মেলন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয়। এর আগেই ওই খসড়া বিবৃতি এএফপির সংগ্রহে আসে। এতে বলা হয়, ‘ইইউ সব রকমের বিকল্প বিবেচনা করে দেখছে। এসবের মধ্যে রয়েছে সিরিয়া সরকারের সমর্থক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার বিষয়টি।’
এর আগে একই বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে অবরোধ আরোপের হুঁশিয়ারি দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ওই দিনই ইইউ জোটের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মগেরিনি জানিয়েছিলেন, সিরিয়া পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধের কথা তাঁরা চিন্তা করছেন না। তবে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে গতকাল মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইইউ নতুন সিদ্ধান্ত নিল।
ইইউর সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও সিরিয়ার বিপক্ষে কথাবার্তা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট বাশারের সমর্থক দেশ বলতে মূলত ইরান ও রাশিয়াকেই ইঙ্গিত করা হচ্ছে। এ দুটি দেশের সেনারা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে সাহায্য করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোর অভিযোগ, রুশ বিমান হামলায় সিরিয়ায় বেসামরিক লোকজন নিহত হচ্ছে।
ইইউর হুমকিতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত থাকলেও তাতে দেশটির নাম সরাসরি উল্লেখ নেই। তবে খসড়া বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার সরকার ও সহযোগীরা, বিশেষত রাশিয়া, আলেপ্পোয় বেসামরিক লোকজনের ওপর যে নির্মমতা চালাচ্ছে, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল তার জোরালো নিন্দা জানায়।
সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের ইতি টানতে পাঁচ বছর ধরে সব রকমের চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। তবে গত সপ্তাহে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো সিরিয়ায় একটি দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রবিরতি চালু করতে নতুন প্রচেষ্টা শুরু করেছে। তারা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনকারী যে কারও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায়। বার্লিনে সম্প্রতি সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জার্মানি ও ফ্রান্সের সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নেয় রাশিয়া। তবে মস্কোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হয়নি বার্লিন ও প্যারিস। এরপর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি আলেপ্পোয় একপেশে অস্ত্রবিরতির মেয়াদ বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন।
মস্কোর সহায়তায় সিরীয় বাহিনী আলেপ্পো অভিযানে ‘মানবিক কারণে বিরতি’ দিয়েছে। বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো থেকে বেসামরিক লোকজন ও যোদ্ধাদের একটি অংশ যাতে বেরিয়ে চলে যেতে পারে, সে জন্যই এই বিরতি। সিরিয়ার সেনাবাহিনী গতকাল বলেছে, এই বিরতি তিন দিন স্থায়ী হবে।

No comments:

Post a Comment

Pages

 

Sample text

Sample Text

 
Blogger Templates