Friday, October 21, 2016

যা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

ঋতুর পরিবর্তন শরীরে প্রভাব ফেলে। কেউ কেউ জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভোগেন। শরীরটা বেশি কাবু হলে যেতে হয় চিকিৎসকের কাছে, চলে ওষুধপথ্য সেবন। তবে প্রাকৃতিক কিছু খাবারও কিন্তু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ দেয়। জানা যাক, কোন কোন খাবারের কী গুণ।


পালং শাক
এতে আছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। এর মধ্যে একটি হলো ফলেট। এটি মানুষের শরীরে নতুন কোষ তৈরি ও ডিএনএ মেরামতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া আঁশ ও ভিটামিন সি-এর মতো বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস পালং শাক। তবে পুরো সুফল পেতে হলে হালকাভাবে রান্না করা পালং শাক খাওয়াই ভালো।
চা
সবুজ বা কালো—যে চা-ই খান না কেন, সেটি আপনার শরীরে জোগাবে বাড়তি পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড। এসব অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানুষের শরীরে কোষ নষ্ট করা উপাদান খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দেয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ক্যাফেইন নিয়ে চিন্তা করবেন না। ক্যাফেইন থাকুক আর না-ই থাকুক, চায়ের কার্যকারিতা একই থাকে।
মিষ্টি আলু
গাজরের মতো মিষ্টি আলুতেও থাকে বিটা-ক্যারোটিন। মানুষের শরীরে ঢুকে এটি হয়ে যায় ভিটামিন এ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি বুড়ো হয়ে যাওয়া ঠেকাতেও কাজ করে বিটা-ক্যারোটিন।
মুরগির স্যুপ
বাসায় বানানো চিকেন স্যুপ মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকে কারনোসিন নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ। এটি ভাইরাসজনিত জ্বরের সংক্রমণ থেকে মানুষের শরীরকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখে। বাসায় বানাতে কি সময়ের অভাব? এতেও সমস্যা নেই। গবেষকেরা বলছেন, বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, এমন চিকেন স্যুপেরও আছে একই গুণ।
রসুন
রসুইঘরে রসুন থাকে সবার বাসায়ই। রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় রসুন। কাঁচা রসুন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশেষ করে, ত্বকের সংক্রমণ নিরাময়ে ভালো কাজ করে রসুন। শরীরের কোলেস্টরলের পরিমাণ কমাতেও কাজ করে এটি।
আদা
খাবারের ঝাঁজ বাড়াতে আদার তুলনা নেই। অনেকের তো আদা-চা ছাড়া কোনো পানীয় মুখেই রোচে না। সর্দি-কাশি কমাতে এর ঔষধি গুণের কথা তাই সবার জানা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস আদা। আর ফলমূল বা সবজি থেকে পাওয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কাজও করে তাড়াতাড়ি।
তরমুজ
তরমুজে থাকে গ্লুটাথায়োন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের লড়াই করার সক্ষমতা বাড়ে।

No comments:

Post a Comment

Pages

 

Sample text

Sample Text

 
Blogger Templates