মাঝমাঠ থেকে সানডের চমকে দেওয়া গোল
১৯৯৬ সালে এএফসি উইম্বলডনের বিপক্ষে ডেভিড বেকহামের গোলটি মনে আছে? নিজেদের অর্ধেই বলটা যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তির পায়ে গেল, প্রতিপক্ষ গোলকিপার গোললাইন ছেড়ে অনেকটা সামনে। ঘুণাক্ষরেও তখন কি আর জানতেন, কী ঘটতে চলেছে?
মধ্যরেখার কাছাকাছি জায়গা থেকেই উইম্বলডনের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন বেকহাম, পড়িমরি করে সেটি ঠেকাতে উল্টো দৌড়ও শুরু করেছিলেন উইম্বলডন গোলকিপার। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। তিনি পোস্টে পৌঁছানোর আগেই বল ঢুকে গেছে জালে! অবিশ্বাসে মাথায় হাত দিয়ে তখন জাল ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন উইম্বলডন গোলকিপার।
তার দশ বছর পর আবারও এমন কীর্তি দেখেছিল ইংলিশ ফুটবল। ২০০৬ সালে নিউক্যাসলের বিপক্ষে নিজেদের অর্ধ থেকে শট করে গোল করেছিলেন লিভারপুলের জাবি আলোনসো।
|হঠাৎ এই দুটি গোলের বর্ণনা কেন? সেটি জানার আগে ধন্যবাদ দিতে পারেন ঢাকা আবাহনী স্ট্রাইকার সানডে চিজোবাকে। আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বেকহাম-আলোনসোদের মতো করেই গোল করেছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার।
মধ্যরেখার কাছাকাছি জায়গা থেকেই উইম্বলডনের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন বেকহাম, পড়িমরি করে সেটি ঠেকাতে উল্টো দৌড়ও শুরু করেছিলেন উইম্বলডন গোলকিপার। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। তিনি পোস্টে পৌঁছানোর আগেই বল ঢুকে গেছে জালে! অবিশ্বাসে মাথায় হাত দিয়ে তখন জাল ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন উইম্বলডন গোলকিপার।
তার দশ বছর পর আবারও এমন কীর্তি দেখেছিল ইংলিশ ফুটবল। ২০০৬ সালে নিউক্যাসলের বিপক্ষে নিজেদের অর্ধ থেকে শট করে গোল করেছিলেন লিভারপুলের জাবি আলোনসো।
|হঠাৎ এই দুটি গোলের বর্ণনা কেন? সেটি জানার আগে ধন্যবাদ দিতে পারেন ঢাকা আবাহনী স্ট্রাইকার সানডে চিজোবাকে। আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বেকহাম-আলোনসোদের মতো করেই গোল করেছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার।
ম্যাচের ৯০ মিনিট তখন শেষ। অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। আবাহনী ১-০ গোলে এগিয়ে। লিগে এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত অপরাজিত রহমতগঞ্জ তখন সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করছে গোলটি ফেরত দেওয়ার। এমন সময়েই মিডফিল্ডে বল পেলেন সানডে। সামনে শুধু রহমতগঞ্জের দুজন ডিফেন্ডার, গোলকিপারও অনেক সামনে উঠে এসেছিলেন। সুযোগটা বুঝেই আচমকা শট নিলেন সানডে, ঠিক বেকহাম-আলোনসোর মতো করেই। ফলও একই। রহমতগঞ্জ গোলকিপার উল্টো দৌড়ে গিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শুধু দৌড়ের অনুশীলনই হলো।
অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবার দুর্দান্ত অনেক গোলই হয়েছে। কিন্তু এমন অবিশ্বাস্য গোল? সেটির দেখা মেলা বিরলই। দেশের ফুটবল নিয়ে যাদের আগ্রহ অনেক আগে থেকে, তাঁরা হয়তো এই গোলটির সঙ্গে খুঁজে পাবেন ১৯৮৬ সালে লিগে আবাহনীর বিপক্ষেই মোহামেডানের মনোয়ার হোসেন মনুর গোলের সঙ্গে। যেটি বিখ্যাত হয়ে আছে ‘ঢাকার মাঠে মনুর গোল’ নামে।
ম্যাচে আজ আবাহনীর প্রথম গোলটিও করেছেন সানডে। দুর্দান্ত গোল ছিল সেটিও। মিডফিল্ড থেকে লম্বা <SNG-QTS>লব থ্রু<SNG-QTS> ধরে, তিন ডিফেন্ডারকে ছিটকে ঢুকে পড়েন রহমতগঞ্জের বক্সে। এরপর এগিয়ে আসা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বলটিকে আলতো করে উঠিয়ে দিলেন। সানডের দুই গোলে জিতে আপাতত রহমতগঞ্জকে হটিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল ঢাকা আবাহনী।
তবে প্রথমটি যদি হয় চোখে মায়াঞ্জন বুলিয়ে দেওয়ার মতো, দ্বিতীয়টি হলো অবিশ্বাসে চোখ বিস্ফোরিত করে দেওয়ার মতোই।
অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবার দুর্দান্ত অনেক গোলই হয়েছে। কিন্তু এমন অবিশ্বাস্য গোল? সেটির দেখা মেলা বিরলই। দেশের ফুটবল নিয়ে যাদের আগ্রহ অনেক আগে থেকে, তাঁরা হয়তো এই গোলটির সঙ্গে খুঁজে পাবেন ১৯৮৬ সালে লিগে আবাহনীর বিপক্ষেই মোহামেডানের মনোয়ার হোসেন মনুর গোলের সঙ্গে। যেটি বিখ্যাত হয়ে আছে ‘ঢাকার মাঠে মনুর গোল’ নামে।
ম্যাচে আজ আবাহনীর প্রথম গোলটিও করেছেন সানডে। দুর্দান্ত গোল ছিল সেটিও। মিডফিল্ড থেকে লম্বা <SNG-QTS>লব থ্রু<SNG-QTS> ধরে, তিন ডিফেন্ডারকে ছিটকে ঢুকে পড়েন রহমতগঞ্জের বক্সে। এরপর এগিয়ে আসা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বলটিকে আলতো করে উঠিয়ে দিলেন। সানডের দুই গোলে জিতে আপাতত রহমতগঞ্জকে হটিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল ঢাকা আবাহনী।
তবে প্রথমটি যদি হয় চোখে মায়াঞ্জন বুলিয়ে দেওয়ার মতো, দ্বিতীয়টি হলো অবিশ্বাসে চোখ বিস্ফোরিত করে দেওয়ার মতোই।
No comments:
Post a Comment