Saturday, October 22, 2016

জেনে নিন সাকিবের ‘১৫০’ বৃত্তান্ত

জানেন কি, টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টে উইকেটই পাননি সাকিব আল হাসান! এমন বাজে শুরুর পরও কি ভেবেছিলেন, টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হবেন, ক্রমেই ছাড়িয়ে যাবেন নিজেকে। আজ টেস্টে ১৫০ উইকেট পূর্ণ করেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে ১৫ বার। 


টেস্টে সাকিবের সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবীয়দের সঙ্গে ৬ টেস্টে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। এরপরই আছে জিম্বাবুয়ে। ৬ টেস্টে ২৬টি। ইংলিশদের বিপক্ষে ৫ টেস্টে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। 
দেশের মাটিতেই সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন সাকিব, সেটা তো বলাই বাহুল্য। নিয়েছেন ১১১ উইকেট। বাকি ৪৩টি বিদেশের মাটিতে। সব মিলিয়ে সাকিবের উইকেট ১৫৪টি। 
ইনিংসে সেরা বোলিং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৮ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৬ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ম্যাচে সাকিব একবারই পেয়েছেন ১০ উইকেট, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৪ সালের নভেম্বরে খুলনা টেস্টে। সাকিবের সেরা গড়ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৩.২৬, সেরা ইকোনমি অবশ্য নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ২.৩৩। 
সাকিব সবচেয়ে বেশি ৫ উইকেট পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, তিনবার। দুবার করে পেয়েছেন ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। দেশের মাটিতে ৫ উইকেট পেয়েছেন ১১ বার, বিদেশের মাটিতে ৪ বার। টেস্ট ক্রিকেটে ৯ প্রতিপক্ষ সবার বিপক্ষেই ইনিংসে ৫ উইকেট আছে তাঁর। 
উইকেট প্রাপ্তিতে সাকিবের সবচেয়ে সফলতম বছর ২০০৮ সালে, পেয়েছিলেন ৩০ উইকেট। এ ছাড়া ২০১০ ও ২০১৪ সালে পেয়েছিলেন ২৭টি করে উইকেট। ২০০৭ সালে তিনটি টেস্ট খেলে একটিও উইকেট পাননি। এ ছাড়া ২০১২ সালটি তাঁর সবচেয়ে বাজে কেটেছে। ৩ ইনিংসে মাত্র ৬টি উইকেট পেয়েছিলেন সেবার। বাংলাদেশের বাইরে ছয়টি দেশে বোলিং করেছেন। কেবল শ্রীলঙ্কাতে পাননি কোনো উইকেট। পাকিস্তান ও ভারতে টেস্ট খেলা হয়নি সাকিবের।
মুশফিকের অধিনায়কত্বে সবচেয়ে বেশি ৭৫টি উইকেট পেয়েছেন। হাবিবুল বাশারের অধিনায়কত্বে পাননি একটিও উইকেট। অবশ্য খেলেছিলেনই মাত্র দুটি টেস্ট। বলও করেছেন মাত্র ৩২ ওভার। শুরুর দিকে সাকিব কত কম বোলিং করতেন, এর থেকেও বোঝা যায়।
অধিনায়ক হিসেবে তাঁর উইকেটের সংখ্যা ৩৯টি, বাকি ১১৫টি পেয়েছেন শুধুই দলের সদস্য হিসেবে। প্রথম ইনিংসে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৬২, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২, তৃতীয়টিতে ২৪ ও চতুর্থটিতে ১৬।
প্রথম বদলি, অর্থাৎ​ তৃতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেই তিনি সবচেয়ে সফল। এর রকম ২৫ ইনিংসে নিয়েছেন ৬৩ উইকেট। সাকিবকে দিয়ে আক্রমণ শুরু হয়েছে একবারই। সেবারও পাননি কোনো উইকেট। 
ওহ ভালো কথা, ক্রেগ কামিংকে মনে আছে সাকিবের? ১৯ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি করে ক্যারিয়ার শেষ করা নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে ব্যর্থ ওপেনারদের একজনকে কেন মনে রাখবেন সাকিব? সেটাই যে ছিল টেস্টে তাঁর প্রথম শিকারই! সাকিবের ৫০তম শিকার ছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ, ১০০তম শিকার ছিলেন ড্যারেন স্যামি। আর আজ জো রুট হলেন ১৫০তম শিকার। বাকিরা কিন্তু কামিংয়ের মতো অখ্যাত নন মোটেও!

No comments:

Post a Comment

Pages

 

Sample text

Sample Text

 
Blogger Templates